বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, কিন্তু মানুষ পিছিয়েছে: সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে ‘বঙ্গবন্ধুর ধর্ম-চেতনা ও নীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আজ দুপুরে কলেজের শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনেছবি: প্রথম আলো

ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। প্রবৃদ্ধিও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মানুষ পিছিয়েছে। মানুষের পিছিয়ে যাওয়ার এই প্রমাণ আমরা দেখতে পাই, প্রতিদিনের গণমাধ্যমগুলোয় অপরাধের চিত্রে। ফলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে।’

আজ রোববার দুপুরে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজে ‘বঙ্গবন্ধুর ধর্ম-চেতনা ও নীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রবন্ধ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তারের সভাপতিত্বে কলেজের শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি যুদ্ধ দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শুনেছি। ভেবেছিলাম, কিউবার মতো বাংলাদেশ একটি দেশ হবে। গুলশান-বনানী-বারিধারা, এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের এই বাংলাদেশ আমি চাইনি। আমি চেয়েছিলাম এই দেশের মানুষ খেয়ে-পরে সুখে থাকবে। পেটে আর পকেটে স্বস্তিতে থাকবে। এই কথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১৭ মিনিটের বক্তব্যে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু দুঃখের কথা, সেই দেশ এখনো হয়ে ওঠেনি। আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে সেই দেশ পাওয়ার জন্য।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আহসান হাবিব, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন শওকত আরা হোসেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মদন কুমার সাহা, যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ।

স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রবন্ধ সংকলন কমিটির আহ্বায়ক খ ম রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে সেমিনার প্রবন্ধ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বহুমুখী বিষয়ভিত্তিক এ সংকলনে মোট ১৮টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি বাংলা ও ৩টি ইংরেজি ভাষায় লেখা।