হাটে নৌকা না নেওয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

আহত সুমন (২৪), ইসলাম (২৮), ইকবালসহ (২৯) কয়েকজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মাসুম আহমদকে (২৫) ভর্তি করা হয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাইজবাড়ি গ্রামের বশির উদ্দিন ও কুতুব মিয়া দুজনই নৌকা তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা করেন। বশির উদ্দিনের একটি নৌকা হাটে তোলার জন্য কতুব মিয়া বায়না নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, কুতুব মিয়াকে গতকাল শনিবার নৌকাটি হাটের নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি নৌকা হাটে নেননি। গতকাল সন্ধ্যায় এ নিয়ে দুই পরিবারের দুই কিশোরের ঝগড়া হয়। পরে স্থানীয় কুরবাননগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল বরকত ও সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে কাল সোমবার সালিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে আজ দুপুরে দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা ও রামদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন। ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামের লোকজন চেষ্টা করেও সংঘর্ষ থামাতে পারেননি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রামের লোকজন দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী বলেন, তুচ্ছ ঘটনা থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি।