অনাগত সন্তানকে দেখতে পারলেন না সজিবুল

সজিবুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন আগে সজিবুল ইসলামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে। প্রতিবেদন দেখে চিকিৎসক জানিয়েছেন সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১৫ এপ্রিল। কিন্তু সন্তানের প্রিয় মুখটি দেখে যেতে পারলেন না সজিবুল। এর আগেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক।

নিহত সজিবুল ইসলাম ওরফে সুজন (২৮) টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল বাসেদের ছেলে। বড়চওনা বাজারে সজিবুলের অনলাইন শপ নামের একটি জুতার দোকান ছিল।

বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান জানান, ঈদ উপলক্ষে তাঁর দোকানে বিক্রির জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় গিয়েছিলেন পাইকারি মূল্যে জুতা কেনার জন্য। ফেরার পথে রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার তক্তারচালা বাজারে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা দেয়। সজিবুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

সজিবুলের বাবা আবদুল বাসেত আহাজারি করে বলেন, ‘আমার বাবা (সজিবুল) প্রিয় সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারল না। আল্লাহ গো তুমি একি করলে!’

জুয়েল শিকদার নামে তাঁর (সজিবুল) এক ভাগনে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মামা সব সময় এতিমদের জন্য কাজ করতেন। তাদের সাহায্য–সহযোগিতা করতেন। তাদের খাবার দিতেন। ছয় দিন আগেও তিনি এতিমদের খাওয়াইছেন। তিনি কি জানতেন তাঁর সন্তান এতিম হয়ে দুনিয়াতে আসবে?’

পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বড়চওনা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।