সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে তেলবাহী লরিতে আগুন, দগ্ধ ৫

‌সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকায় এক সিএনজি ফিলিং স্টেশনে রোববার বিকেলে আনলোড করার সময় তেলবাহী লরিতে আগুন লেগে যায় । ঘটনার পর সেখানে স্থানীয়রা ভিড় করেন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে এক সিএনজি ফিলিং স্টেশনে তেলবাহী লরিতে আগুন লেগে যায়। এ সময় পাশে নর্দমার সংস্কারকাজ করতে থাকা ৫ জন দগ্ধ হন। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকার নর্থ–ইস্ট সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সিলেট নগরের ঘাসিটুলা এলাকার মো. মমতাজ মিয়া (৩৫), মো. লিটন মিয়া (২৫), মো. আলম মিয়া (২৩), মো. মতিন মিয়া (৬০) ও বেতেরবাজার এলাকার সুভাষ দাস (৫৫)। তাঁদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্র জানা গেছে, পাঠানটুলা এলাকার নর্থইস্ট সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের পাশে সিলেট সিটি করপোরেশনের নর্দমার সংস্কারের কাজ চলছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্টেশনে তেলবাহী একটি গাড়ি আনলোড করা হচ্ছিল। এ সময় নর্দমার সংস্কারকাজে থাকা শ্রমিকেরা রড কাটছিলেন। আনলোড করার একপর্যায়ে আগুনের একটি ফুলকি গিয়ে তেলবাহী লরির নিচে গিয়ে পড়ে।

তখন তেলবাহী লরির পেছনের চাকাসহ পাইপে আগুন লেগে যায়। এ সময় লরির পাশে থাকা নর্দমার কাজ করা শ্রমিকেরা দগ্ধ হন। এতে আশপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। একপর্যায়ে তেলবাহী লরির চালক গাড়িটি চালিয়ে পাম্পের বাইরে নিয়ে যান। এ সময় স্থানীয় ও আশপাশের মানুষ এগিয়ে গিয়ে পানি ও বালু দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। খবর পেয়ে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এদিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পাঁচজনের মধ্যে একজনের শ্বাসনালি পুড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরের মীরাবাজার এলাকার বিরতি ফিলিং স্টেশনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সে সময় পাম্পের ৯ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছিলেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জন মারা যান।