দ্বিতীয় স্ত্রীর হত্যা মামলা, ৮ মাস পর কবর থেকে সাংবাদিকের লাশ উত্তোলন
জামালপুরের মেলান্দহে দাফনের আট মাস পর আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক নুরুল হকের (৭৫) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের গৌবিন্দপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাঁর মরদেহ তোলা হয়।
নুরুল হক জামালপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। গত ২১ ডিসেম্বর তিনি জামালপুর শহরের বানিয়া বাজার এলাকায় ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। ওই দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পরিকল্পিতভাবে নুরুল হককে হত্যার করার অভিযোগে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন। মামলায় নিহত সাংবাদিকের প্রথম স্ত্রী খাইরুন্নেছা ও তাঁর মেয়ে জেবুন্নেছাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে আদালত লাশের ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেন।
আজ দুপুরে কবর থেকে নুরুল হকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন ও জামালপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শক মোশারফ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় কবর থেকে লাশ তুলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।