বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, চারজন গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোথাও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আবার কোথাও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। তাঁদের ব্যবহৃত একটি ব্যক্তিগত গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে জেলা শহরের ভাঙা ব্রিজ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার দেবীদ্বার এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান এবং খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির আবদুল মতিনের ছেলে মোক্তাদির হোসেন ও গুইমারার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে আল আমীন। তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন মো. আলমগীর হোসেন নামে খাগড়াছড়ির একটি ইটভাটার মালিক।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা গতকাল বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার একটি ইটভাটায় গিয়ে নিজেদের বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য পরিচয় দেন। এরপর নানা ধরনের হুমকি দিয়ে ইটভাটা কর্তৃপক্ষের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে হুমকির মুখে ইটভাটা মালিক তাঁদের এক লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। পরে এসব ব্যক্তিরা আলমগীর হোসেনের মালিকানাধীন ইটভাটায় গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে আলমগীর হোসেনকে হুমকি–ধামকি দিয়ে চলে আসেন।
পুলিশ জানায়, চাঁদা দাবির বিষয়ে খবর পেয়ে দীঘিনালা থেকে ফেরার পথে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। চাঁদাবাজি করার সময় এসব ব্যক্তিদের সঙ্গে আরও অন্তত সাতজন ছিলেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ওই ব্যক্তিরা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য পরিচয়ে গতকাল দুপুরে তাঁর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকার নিয়ে পরে চলে যান।
খাগড়াছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজন ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হবে।