কালুরঘাট সেতুতে আবার সংকেত অমান্য করলেন ট্রেনচালক
কালুরঘাট সেতুতে আবারও সংকেত মানেননি ট্রেনচালক। গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রবাল এক্সপ্রেসের চালক নির্ধারিত স্থানে না থেমে ও চৌকিদার বইয়ে সই না করেই সেতুতে প্রবেশ করেছেন। ওই সময় সেতুর ওপর কোনো গাড়ি না থাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ৫ জুন সংকেত না মেনে কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন উঠিয়ে দিয়েছিলেন চালক। এতে ট্রেনের ধাক্কায় শিশুসহ দুজন প্রাণ হারান।
ঘটনাটি রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন জান আলী হাট রেলস্টেশনের রিলিভিং মাস্টার তান্নি বড়ুয়া। তিনি লিখেছেন, ‘কর্তব্যরত গেটকিপার (অস্থায়ী) সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে জানতে পারি, ট্রেনটি সেতুর ডেড স্টপে (দাঁড়ানোর নির্ধারিত স্থান) না দাঁড়িয়ে ও চৌকিদার বইয়ে সই না করে ইঞ্জিন ও দুটি বগিসহ সেতুতে প্রবেশ করেছে। এরপর চৌকিদার বইয়ে সই করা হয়েছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের ঘটনা নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার পরিপন্থী।’
পরে এ বিষয়ে জান আলী রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারগামী ট্রেন শহর থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে একটি নির্ধারিত স্থানে দাঁড়াতে হয়। এরপর চৌকিদার বইতে সই করতে হয়। এ নিয়ম মানা হয়নি। ট্রেনের চালককে লাল সংকেত দেখানো হয়েছিল। সেটি উপেক্ষা করা হয়েছে। ঘটনাটি লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
ঘটনার সময়কার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ট্রেনটি সেতুর দিকে আসছে। তখন বিকেল ৪টা ৫ মিনিট। গেটম্যান সাইফুল ইসলাম হাতে লাল পতাকা নিয়ে ট্রেন থামার সংকেত দেন। ট্রেনটি আরও কয়েক সেকেন্ড পর সেতুর ওপর গিয়ে থামে।
৫ জুন রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে জানান স্টেশনমাস্টার নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ট্রেন কক্সবাজার যাওয়ার সময় সেতুর পশ্চিম প্রান্তে থামতে হয়। আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে থামতে হয় সেতুর পূর্ব প্রান্তে। সেদিন পর্যটক এক্সপ্রেসের চালক সেতুর পূর্ব প্রান্তের নির্ধারিত স্থানে দাঁড়াননি। সই করেননি চৌকিদার বইয়ে। লাল পতাকার সংকেতও মানেননি। এ কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা।