সিলেটে দুটি পৃথক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

সিলেটে দুটি পৃথক হত্যা মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিয়াজী শহিদুল আলম চৌধুরী ও সিলেটের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এই দুই মামলার রায় দেন।

এর মধ্যে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার একটি ঘটনায় চারজন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরের স্বামীকে হত্যার ঘটনায় সাতজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

প্রথম মামলাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের বটেশ্বর এলাকায় ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল বিকেলে হাফেজা খাতুন (১২) নামের একটি শিশু গরু চড়াতে যায়। পরদিন সকালে শিশুটির বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামের একজনকে আটকের পর তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আনোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও তিনজনের নাম জানান। পরে ওই তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ ওই চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের বটেশ্বর এলাকার আনোয়ার হোসেন, মো. খোকন, ফয়সল আহমদ ও মো. আনাই।

সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী বলেন, চার আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে রয়েছেন। আনোয়ার হোসেন পলাতক।

দ্বিতীয় মামলাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরের খুলিয়াটুলা এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট রাতে খুলিয়াটুলা এলাকার গরম দেওয়ান মাজারের পাশে খুন হন। এ ঘটনায় তাজুলের স্ত্রী সিলেট সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহানা বেগম ওই বছরের ২৩ আগস্ট ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ১৬ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আজ আদালত সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া ৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সিলেট নগরের কুয়ারপাড় এলাকার শাকিল ওরফে পিচ্চি শাকিল ও আল আমিন, খুলিয়াটুলা এলাকার সবুজ মিয়া, কলাপাড়া এলাকার মিন্টু আহমদ, কোয়ারপাড় এলাকার আবদুর রহিম, আবদুল ওহাব ওরফে কাইয়ুম এবং কুমারপাড়া এলাকার তোফায়েল।