টঙ্গীতে শরীফ হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

শরীফ হোসেন রিফাত হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় বিক্ষোভ করে এলাকবাসী
ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর শরীফ হোসেন হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এরশাদনগর এলাকা অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ বুধবার বিকেলে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
নিহত শরীফ হোসেনের বাসা টঙ্গীর এরশাদনগরের ২ নম্বর ব্লকে। তিনি ওই এলাকার  ফারুক হোসেনের ছেলে।

শরীফ হোসেনের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় বন্ধু সোহাগ ও কাজলের সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে বাসা থেকে বের হন তাঁরা। এরপর আর বাসায় ফেরেননি শরীফ।

মঙ্গলবার সকালে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ে শরীফের মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করে তুরাগ নদ থেকে শরীফের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সোহাগ ও কাজলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে মামলা করেন শরীফের বাবা ফারুক হোসেন।

ঘটনার দুই দিন পরও কোনো আসামি ধরা না পড়ায় বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী এরশাদনগর এলাকায় জড়ো হন শরীফের পরিবার ও  এলাকার লোকজন। প্রথমে মহাসড়কে মানববন্ধন করেন তাঁরা। এরই একপর্যায়ে সড়কে বসে পড়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তাঁরা। এতে ঢাকামুখী সড়কে প্রায় ২০ মিনিটের মতো যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শরীফের বাবা ফারুক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোহাগ ও কাজল আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক। ঘটনার দুই দিন পরও কোনো আসামি ধরা পড়েনি। আমরা এই ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘পুরো ঘটনাটি নৌ পুলিশ তদন্ত করছে। পাশাপাশি আমরাও ছায়া তদন্ত করছি। আশা করছি, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা দ্রুতই ধরা পড়বে।’