বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে পঞ্চম দিনের মতো শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল

বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকায়
ছবি: মাসুদ রানা

বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা আজ পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করেছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকায় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এক পাশে অবস্থান নেন। এতে অপর পাশ দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলতে থাকে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ভাষ্য, ন্যূনতম মূল বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
কোনাবাড়ী তুষকা নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক আমানা আক্তার বলেন, ‘আমাদের এখন বেতন ৮ হাজার টাকা। এই টাকায় আমাদের সংসার চলে না। এই কারণে আমরা চাই, আমাদের বেতন যেন ২৩ হাজার টাকা করা হয়।’

আন্দোলনকারী শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন সবকিছুর দাম বেশি। তাই বর্তমান বেতন দিয়ে চলতে পারেন না। গ্রামে স্বজনদের টাকা পাঠাতে হয়। সেই টাকাও এখন ঠিকমতো পাঠাতে পারেন না। সারা মাস ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

আজ সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা দেখা যায়, গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে কোনাবাড়ী ও চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় সব কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। চন্দ্রা এলাকায় পুলিশের জল কামনও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
আজ দুপুর সোয়া ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন।

লাঠিসোঁটা হাতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজকে মহাসড়কে যানবাহন কম, তারপরও শ্রমিকদের মহাসড়কে অবস্থানের কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। শ্রমিকদের শান্ত করে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা ও মৌচাক এলাকায় শ্রমিকেরা বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় এই কর্মসূচি বন্ধ ছিল। কয়েক দিনে এসব এলাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি চলাকালে কারখানায় ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে।