কালিয়াকৈরে পদচারী সেতু নির্মাণের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পদচারী সেতু নির্মাণের দাবিতে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বিশ্বাসপাড়ায় রোববার দুপুরেছবি: প্রথম আলো


পদচারী সেতু নির্মাণের দাবিতে আজ রোববার দুপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকায় ওই বিক্ষোভ হয়।
পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা জানান, উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকায় স্টারলিংক কারখানার শ্রমিকেরা দুপুরের খাবার শেষে কাজে ফিরছিলেন। এ সময় শ্রমিকদের নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্য কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা রশি দিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। এতে শ্রমিকেরা নিরাপদে এক পাশ থেকে অন্য পাশে যান। রশি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় শিক্ষার্থীদের কিছু মোটরসাইকেল আটকা পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন। কারখানার কয়েকজন কর্মচারী এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ও স্টাফদের মারধর করার খবর কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে বেলা আড়াইটার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এর আগেই শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান। পরে শ্রমিকেরা সড়কে বিক্ষোভ করেন এবং সেখানে একটি পদচারী সেতু নির্মাণের দাবি জানান। খবর পেয়ে শিল্প ও থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ থাকায় উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই মহাসড়কে চলাচলকারীরা।
স্টারলিংক কারখানার শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাঁদের কারখানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি পদচারী সেতু রয়েছে। সেটার কারণে তাঁদের চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। কারখানার সামনে বা আশপাশে একটি পদচারী সেতু থাকলে তাঁদের সড়ক অতিক্রম করতে সুবিধা হতো।
আরেক শ্রমিক হাজেরা বেগম বলেন, এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পদচারী সেতু থাকলে ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের মহাসড়ক পারাপার করতে হতো না।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।