হামলায় আহত নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিবের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি

হামলায় আহত বিএনপির নেতা রহিম নেওয়াজকে নাটোর থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় আহত নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আহত রহিম নেওয়াজের ছেলে রাকিবুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁর ডান হাতের কনুই ও বাহুর মাঝে ভেঙে গেছে। বাঁ হাত ও দুই পায়ে গুরুতর আঘাত রয়েছে। আগে থেকেই তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছিল। কিডনি বরাবর বেশ কিছু আঘাত লাগায় তিনি ব্যথা অনুভব করছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। সব পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়নি। তিনি কথাও বলতে পারছেন না।

আরও পড়ুন

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই বাবার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছি। বাবা এখনো কথা বলতে পারছেন না। বাবার কাছে না শুনে তো মামলা করা যাবে না। তাই তাঁরা এখন পর্যন্ত মামলা করেননি। বাবা সুস্থ হলে মামলা করবেন।’ তিনি আরও বলেন, মামলা না করলেও পুলিশসহ নাটোরবাসী সবাই জানেন, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত ক্যাডাররা তাঁকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। পুলিশ হামলাকারীদের কাউকেই আটক করেনি।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ বলেন, ভুক্তভোগী অসুস্থ। তিনি বা তাঁর পক্ষ থেকে কেউ এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতে আসেননি। মামলা করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নাটোরে গতকাল সোমবার সমাবেশ শুরুর চার ঘণ্টা আগে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেে। ভোর পাঁচটার দিকে শহরের চকবৈদ্যনাথ গুড়পট্টি এলাকায় তাঁকে লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

জনসমাবেশের প্রস্তুতির জন্য দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের লোকজন রহিম নেওয়াজের ওপর এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপির দলীয় কোন্দল থেকে এই হামলা হতে পারে। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কর্মীদের লাঠিসোঁটা হাতে শহরে দফায় দফায় মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে।