বেশি বেতনে চাকরির কথা বলে ভারতে নারী পাচার

ক্যাপশন: নারী পোশাকশ্রমিকদের ভারতে পাচারের অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার মো. তারেক। আজ নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায়ছবি: সংগৃহীত

বেশি বেতনে পারলারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারী পোশাকশ্রমিকদের ভারতে পাচারের অভিযোগের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. তারেক (৩৪)। আজ সোমবার নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চন্দ্রনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার শিকার এক নারীর করা মামলায় তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বেশি বেতনে ভারতের পারলারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারী পোশাকশ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পরে সেখানে হোটেলে আটকে রেখে তাঁদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো। না শুনলে চলত নির্যাতন। সম্প্রতি পাচারের শিকার হওয়া এক নারী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় তারেক, তাঁর স্ত্রী ঝুমু আক্তার ও তাঁদের সহযোগী আনিসুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ওসি আরও বলেন, পোশাকশ্রমিকদের লক্ষ্য করে নগরের বিভিন্ন কারখানার বিশেষ করে চাকরিচ্যুত হওয়ার নারীদের সঙ্গে সখ্য করেন তারেকের স্ত্রী ঝুমু আক্তার। পরে তাঁদের বেশি বেতনে ভারতে পারলারে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখান। যশোরের সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য নিয়ে হোটেলে আটকে রেখে তাঁদের যৌন কাজে বাধ্য করা হতো।

ঘটনার শিকার এক নারী সম্প্রতি দেশে ফিরে আসা এক নারী বায়েজিদ বোস্তামী থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, চাকরি চলে যাওয়ার পর তারেকের স্ত্রী ঝুমু তাঁদের বেশি বেতনে ভারতের পারলারে কাজ করতে বলেন। রাজি হলে ওই নারী ও তাঁর এক বান্ধবী গত ২৯ মে যশোরে যান তারেকের সঙ্গে। ছয় কিলোমিটার পর তাঁরা ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দেখতে পান। সীমান্তের পাশে একটি ঘরে তাঁদের রাখা হয়। ২ জুন কাঁটাতারের বেড়া পার করে তাঁদের ঝাড়খন্ড রাজ্যের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসেন তাঁরা।