৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাঁপছে শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর শ্রীমঙ্গলে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তবে তাপমাত্রা কম হলেও সকাল থেকে কুয়াশার দাপট তেমন ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য দেখা মিলেছে দ্রুত। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সূর্য তাড়াতাড়ি ওঠার কারণে ঠান্ডা একটু কম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে গতকাল সোমবার এখানে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েক দিন ধরেই শ্রীমঙ্গলে শীতের দাপট। প্রচণ্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে রাতে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে কুয়াশার ঘনত্বও বেশি থাকছে। এ কারণে রাতে শ্রীমঙ্গলের সড়কগুলোয় ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। তবে তীব্র শীতে চা-বাগানের শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। শীত উপেক্ষা করেই তাদের খুব সকালে কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে।
উপজেলার ভুরভুরিয়া চা-বাগানের শ্রমিক আকাশ দোষাদ বলেন, ‘রাতের বেলা চা-বাগানে মারাত্মক ঠান্ডা পড়ে। আমাদের অনেক কষ্ট করে থাকতে হয়। সবার ঘরে পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। সরকার থেকে যদি শীতের কাপড় বিতরণ করা হয়, তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হব।’
এদিকে পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও পড়েছেন শীতের কবলে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পর্যটকেরা হোটেল বা রিসোর্টের কক্ষেই বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছেন।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে আসা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছোট বাচ্চা ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি শ্রীমঙ্গল ঘুরতে। এখানে এত ঠান্ডা, আগে বুঝিনি। দুই দিনের ট্যুরে (ভ্রমণে) এসে রুম (কক্ষ) থেকেই তেমন বের হইনি। আজকে একটু রোদ ওঠায় দিনের বেলায় বের হয়েছি। আজ রাতেই আবার ঢাকা চলে যাব।’