উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আগে সাবেক পরিচালককে বের করে দিলেন ব্যবসায়ীরা

উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আগে চট্টগ্রাম চেম্বারে ব্যবসায়ীদের হট্টগোল। আজ দুপুর তিনটায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বার মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটেছবি প্রথম আলো

চট্টগ্রাম চেম্বারে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরুর আগে চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহকে সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা তিনটায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বার মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চেম্বার। বিকেল চারটার দিকে উপদেষ্টা সভাকক্ষে আসেন তিনি। এর আগে বেলা তিনটা থেকেই ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত হন।

এ সময় চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ সামনের সারিতে বসা ছিলেন। একপর্যায়ে পেছনের সারিতে থাকা ব্যবসায়ীরা হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় তাঁরা মাহফুজুল হক শাহকে আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও পরিবারতন্ত্রের অংশ হিসেবে স্লোগান দেন।

এ সময় মাহফুজুল হক উত্তেজিত ব্যবসায়ীদের বোঝানো চেষ্টা করেন। তবে এক পর্যায়ে তিনি আসন ছেড়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তিনি সভাকক্ষ ত্যাগের পর ব্যবসায়ীরা শান্ত হোন।

ব্যবসায়ীদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও সাবেক চট্টগ্রাম চেম্বার ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম চেম্বারকে ধ্বংস করেছেন। ভুয়া ভোটার তৈরি ও পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

জানতে চাইলে মো. লোকমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারের লতিফ-মাহবুব পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। মাহফুজুল হক সাবেক সংসদ লতিফদের সঙ্গে মিলে এখানে ভুয়া ভোটার বানিয়ে চেম্বারকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এই সভায় তাঁদের কেউ থাকা ব্যবসায়ীরা মেনে নেবেন না।

মাহফুজুল হক শাহ চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ওমর হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন পরিষদের পরিচালক ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে চেম্বারের পুরো পর্ষদ পদত্যাগ করে। সেখানে মাহফুজুল হক শাহও ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজুল হক শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু বহিরাগত লোক গত কমিটির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁরা ব্যবসায়ী ছিলেন না। বহিরাগতরা হট্টগোল করেছিল। অনুষ্ঠানের পরিবেশের স্বার্থে আমি চলে আসি।’