সাতক্ষীরায় হত্যা মামলায় সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক কারাগারে
একটি হত্যা মামলায় সাতক্ষীরায় এক সাংবাদিকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। ওই সাংবাদিকের নাম হাবিবুর রহমান (৫৫)। তিনি সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
হাবিবুর রহমানের আইনজীবী আব্দুল মজিদ জানান, তাঁর মক্কেল এর আগে একই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা ছিল জামিন শেষ হলে জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করার। পাশাপাশি নির্দেশনা ছিল মামলার গুণগত অবস্থা বিবেচনা করে জেলা ও দায়রা জজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী জামিনের মেয়াদ শেষে হাবিবুর রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেবহাটার খলিশাখালী এলাকায় ১ হজার ৩২৮ বিঘার একটি মহিষের ঘেরে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ১ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় পিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। অভিযানে ১৫টি হাতবোমা, পাঁচটি দেশীয় দা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় ও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার কয়েক দিন পর নিহত কামরুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সাতক্ষীরার স্থানীয় দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শেখ আব্দুস সাত্তার বলেন, মর্জিনা বেগম একজন অসহায় ও দরিদ্র নারী, যিনি তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে থানায় মামলা করেন। বর্তমানে তিনি সন্তানদের নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তাঁরা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যেন অভিযুক্তকে জেলহাজতে রাখা হয়।