দুমকিতে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা পড়ে শিক্ষক আহত

পটুয়াখালীর দুমকির পশ্চিম জলিসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে পলেস্তরা, বিমসহ বৈদ্যুতিক পাখা নিচে পড়ে যায়। এতে এক শিক্ষক আহত হন
ছবি: সংগৃহীত

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর প্রাক্কালে প্রস্তুতি নিচ্ছিল শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকও শ্রেণিকক্ষে চলে আসেন। এ সময় বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদের বিম ও পলেস্তারা খসে নিচে পড়ে। এর সঙ্গে বিম থেকে বৈদ্যুতিক পাখাও নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আহত না হলেও আহত হন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহম্মদ দলিল উদ্দিন।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জলিসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক দলিল উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম বলেন, ঈদের ছুটির পর আজ বিদ্যালয় খুলেছে। তাঁদের ভবনটি পুরোনো। সকাল নয়টার দিকে প্রথম শ্রেণির কক্ষে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগে বিকট শব্দে ছাদের বিম থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। এ সময় ছাদ থেকে বৈদ্যুতিক পাখাও নিচে পড়ে যায়। কক্ষে উপস্থিত শিক্ষক মোহাম্মদ দলিল উদ্দিন পলেস্তারা খসে পড়ায় হাতে ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন। এ সময় শ্রেণিকক্ষের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের কেউ আহত হয়নি। দুর্ঘটনার বিষয়টি পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা, দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ১৯৭৫ সালে টিনশেড ঘরে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়ে একতলা ভবন নির্মিত হয়। শ্রেণিকক্ষের সংকটে পুরো ভবনে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দেবেন এবং প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই স্কুলের জন্য নতুন ভবন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু জমির জটিলতায় কাজ বন্ধ রয়েছে।