রূপপুরে পৌঁছেছে ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান

বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে চলছে চাষাবাদ। পেছনে দেখা যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কুলিং টাওয়ার। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী এলাকায়
ফাইল ছবি

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান পৌঁছেছে। পূর্বের চারটি চালানের মতোই বিশেষ নিরাপত্তাবলয়ে আজ শুক্রবার সাড়ে ৯টার দিকে পঞ্চম চালানের ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় রূপপুরে কর্মরত দেশি-বিদেশি শ্রমিক-কর্মকর্তারা গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) বিপ্লব কুমার গোস্বামী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ চালানের মতোই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পঞ্চম চালান রূপপুরে এসেছে। ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে নাটোর-কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক দিয়ে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুরে পৌঁছায়। এ সময় মহাসড়কে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তাবলয় ছিল। নিরাপত্তার জন্য কিছুক্ষণ পাবনা-নাটোর-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রূপপুরে পৌঁছায়। গত ৫ অক্টোবর চালানটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঐতিহাসিক এই কমিশনিংয়ের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এতে বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশের মর্যাদা অর্জন হয়।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়া থেকে ঋণসহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আগামী বছর প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায়। একই বছর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করার আশা করছে তারা।