বিদ্যালয়ের তিন কক্ষের একতলা ভবনটি ২০০০ সালে নির্মাণ করা হয়। সব কটিই ব্যবহৃত হয় শ্রেণিকক্ষ হিসেবে। ভবনের সিঁড়িঘর-সংলগ্ন স্থানটি অফিসকক্ষ বানিয়ে তাতে বসতেন শিক্ষকেরা।
ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, অন্যান্য দিনের মতো সকাল নয়টা থেকে বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষেই ক্লাস চলছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ অফিসকক্ষে শিক্ষকদের বসার স্থানে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এ সময় শিক্ষকেরা সবাই ক্লাসে থাকায় কেউ আহত হননি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামীম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট কাজে তিনি উপজেলা সদরে এসেছিলেন। অফিসকক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ার পরপর শিক্ষকেরা তাঁকে ছবি তুলে পাঠিয়েছেন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান তিনি।
ছয় মাস ধরে অফিসকক্ষের ছাদে পলেস্তারা আলগা হয়েছিল এবং বিভিন্ন দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানান শামীম মোল্লা। তিনি বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি। এসব দ্রুত সংস্কার ও মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে।’