সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হত্যা: ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আটক

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদকে (বাবু) আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

ঠিক কী কারণে কাজী কামাল আহমেদকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি স্থানীয় পুলিশ। তবে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আটক করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান শাহীন হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদের মামাতো ভাই।

আরও পড়ুন

আজ শুক্রবার ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়াম–সংলগ্ন কাজী কামাল আহমেদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী কলেজশিক্ষিকা কাজী শিরিনা আফরোজকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, গতকাল ডিবি পুলিশ তাঁর স্বামীকে আটক করে নিয়ে গেছে। তারা ঢাকা থেকে এসেছিল। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন নিয়ে যাচ্ছেন। তারা শুধু বলেছে কিছু কথা আছে। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন উদ্দিন বলেন, রাতে ঢাকার ডিবির একটি দল ঝিনাইদহে এসেছিল। তারা কাজী কামাল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদরে জন্য আটক করে নিয়ে গেছে। তবে মামলায় কোন ব্যাপারে নিয়ে গেছে, তা নিশ্চিত বলতে পারছেন না।

আরও পড়ুন

পুলিশ বলছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে কলকাতায় যান। পরদিন কলকাতার নিউ টাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে তাঁকে খুন করা হয়। ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে কলকাতা পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশকে এ তথ্য জানায়।

এরপর ঢাকা থেকে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা ও তাঁর লাশ গুম করার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পায় পুলিশ। তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর তাঁর লাশ টুকরা টুকরা করে ব্যাগে ভরে সরানো হয়। এর কিছু অংশ কলকাতার একটি খালে ফেলা হয়েছে।

আরও পড়ুন