নোয়াখালীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করায় বিজিবি সদস্যের ৩ বছরের কারাদণ্ড
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অপরাধে নোয়াখালীতে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।
সোহেল সুলতান (৩২) নামে দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ল্যান্সনায়েক। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে ছিলেন। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠান।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন সোহেল সুলতানের মা মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন, বোন শিউলী আক্তার ও ফুফু হাসনা বেগম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চর শুল্লাকিয়া গ্রামের সফিক উল্যাহর ছেলে বিজিবির সদস্য সোহেল সুলতান ২০১৫ সালে একই উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আবদুল সাত্তারের মেয়ে শিরিন আক্তার মুন্নিকে বিয়ে করেন। তাঁদের বিয়ের দেনমোহর ছিল ছয় লাখ টাকা। বিয়ের কিছুদিন পর সোহেল তাঁর স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। দাবি করা যৌতুক না পেয়ে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই মারধর করে শিরিন আক্তারকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সোহেল।
এরপর শিরিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সোহেল সুলতানসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে তৎকালীন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলাল হোসেন পিটিশন মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।