নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণে তরুণ গুরুতর আহত

নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য নামে এক তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে
ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে বিস্ফোরণে স্থানীয় এক বাংলাদেশি তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুক্রবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখা ঘেঁষে ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত তরুণের নাম অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য (২২)। তিনি ঘুমধুমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়ার মৃত অংকো থোয়াই তংচঞ্চগ্য প্রকাশ পোয়াইয়ার ছেলে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টু বলেন, চাষাবাদের জমিতে গেলে ওই তরুণ মাইন বিস্ফোরণের কবলে পড়েন। জায়গাটি শূন্যরেখায় পড়েছে। মাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঞ্চ্যার বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ আলাদা হয়ে গেছে। সেখানে আরও মাইন থাকতে পারে। এ ঘটনায় সীমান্তে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তের কাছে স্থানীয় কৃষকদের ধান ও শাকসবজির খেত আছে।

ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) সোহাগ রানা বলেন, স্থল মাইন বিস্ফোরণে এক তরুণের পা হারানোর কথা শোনা গেছে। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় পুলিশের যাওয়ার সুযোগ নেই। সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় যেতে সাধারণ লোকজনের পাশাপাশি পুলিশকে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এক মাসের বেশি সময় ধরে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির তৎপরতা থামাতে সীমান্তের শূন্যরেখায় স্থল মাইন পুঁতেছে মিয়ানমার।

আহত অথোয়াইংয়ের মা ইয়াং মে চাকমা স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার বিকেলে গরু আনতে ছেলেসহ পাড়ার কয়েকজন সীমান্তের কাঁটাতারের কাছাকাছি যান। সেখানে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। মাইন বিস্ফোরণে তাঁর ছেলের বাঁ পা উড়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে। আহত ছেলেকে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, অবস্থার আরও অবনতি হলে গুরুতর আহত ওই তরুণকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।