এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালিগালাজ ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় কয়েক দফা তদন্তের পর ৪ মার্চ ছাত্রলীগের অভিযুক্ত পাঁচ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা (সেশন: ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০-২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় এই পাঁচজনকে ১ মার্চ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
নির্যাতনের ঘটনায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ, হাউস টিউটরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ খুঁজে পায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। হাইকোর্টের নির্দেশে ১ মার্চ হলটির প্রাধ্যক্ষ শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়।
ফুলপরী খাতুনের নতুন হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের হাউস টিউটর নুসরাত সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ফুলপরীকে নতুন হলে স্বাগত জানানো হয়েছে। আজ থেকে তিনি হলে থাকবেন। অন্য ছাত্রীদের মতো তাঁকেও সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।