‘রাউজানে পুরোনো কায়দায় চাঁদাবাজি, খুনোখুনি চলছে’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবেছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানের পুরোনো কায়দায় এলাকার বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, চাঁদাবাজি ও খুনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী। আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের নগরের প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাউজানের মানুষ আবারও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। অপরাধীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাউজানের ৪৮টি ইটভাটা থেকে ২ লাখ টাকা করে প্রায় ১ কোটি টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই চাঁদাবাজি চলছে। অন্যদিকে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী কাঠবোঝাই প্রতিটি ট্রাক থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এলাকায় কাদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি চলছে, তা প্রশাসন জানলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

জসিম উদ্দিন চৌধুরীর বলেন, উপজেলার পশ্চিম গুজরায় ১৫ শতাংশ চাঁদা পরিশোধ না করায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছে। চাঁদা না দেওয়ায় ওমানপ্রবাসী ব্যবসায়ী বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ইয়াসিন চৌধুরীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে চাঁদাবাজরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৪ জানুয়ারি চাঁদা না দেওয়ায় রাউজানের নোয়াপাড়ায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক সাবেক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় প্রকৃত খুনিদের আড়াল করে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।

৫ আগস্টের পর থেকে যাঁরা এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাঁরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারকে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রাউজানে এখন খুব খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

চাঁদাবাজি, খুন ও দখলের সঙ্গে কারা জড়িত, তা খোলাসা করেননি উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারা এসব ঘটনায় জড়িত, তা সবাই জানেন। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, রাউজান পৌর বিএনপির সভাপতি আবু মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন খান প্রমুখ।