সাগরপাড়ে রাত জেগে লাশের অপেক্ষায় স্বজনেরা

সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল
ছবি: প্রথম আলো

দুই ভাই শাহীন মোল্লা ও ইমাম মোল্লা যে ড্রেজারে কাজ করেন, গত সোমবার রাতে সেটি ডুবে যাওয়ার খবর পান মো. খাইরুল ইসলাম। খবর পেয়ে রাতেই পটুয়াখালী থেকে ঢাকার বাস ধরেন। সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় আরেক বাসে উঠে সকাল ১০টায় মিরসরাই নেমে চলে আসেন সমুদ্রপাড়ের দুর্ঘটনাস্থলে। দিন শেষে রাতেও জেগে ছিলেন সাগরপাড়ে। ভাইদের লাশের অপেক্ষায়। তাঁর মতো সাগরপাড়ে এমন রাত জেগে স্বজনের লাশের অপেক্ষায় আছেন ড্রেজার ডুবে মারা যাওয়া আরও ছয় শ্রমিকের স্বজনেরা।

সোমবার রাতে মিরসরাই উপজেলার বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকায় সাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় আট শ্রমিকসহ ডুবে যায় বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভরাটের কাজে নিয়োজিত ড্রেজার সৈকত-২।

চাচা মো. জহিরুল মোল্লা রাত জেগে মিরসরাইয়ের বামনসুন্দর খালের মুখে সাগরপাড়ে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে অপেক্ষা করছেন ভাতিজা মাহমুদ মোল্লার লাশের আশায়। গতকাল রাত একটার দিকে তিনি বলেন, ‘ভাতিজাকে আর জীবিত পাব না জানি, এখন শুধু ওর লাশটা চাই। বাড়ি নিয়ে যাতে কবর দিতে পারি।’

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মঙ্গলবার রাত ১২টায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ করা হয়। আজ বুধবার সকালে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

গতকাল রাতে ড্রেজারটি থেকে মো. আল আমিন নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন