বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ, প্রার্থীর পক্ষে শোডাউন

কুষ্টিয়া–৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবতর্নের দাবিতে নারীদের বিক্ষোভ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমারখালীর তেবাড়িয়া এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে এবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলটির একাংশের নারী নেতা–কর্মীরা। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করেছেন তাঁর সমর্থকেরা।

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

কুষ্টিয়া-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সমর্থকদের মোটরসাইকেল শোডাউন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমারখালী শহরে
ছবি: প্রথম আলো

সৈয়দ মেহেদী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিককে প্রার্থী করার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে মহিলা দলের একদল নেতা–কর্মী কুমারখালীর তেবাড়িয়া এলাকা থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি হলবাজার, গণমোড়, থানা মোড়, স্টেশনবাজার, কুমারখালী বাসস্টান্ড–সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকা প্রদক্ষিণ করে তেবাড়িয়ায় এসে শেষ হয়।

সমাবেশে উপজেলার সদকী ইউনিয়ন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া খাতুন বলেন, বারবার মেহেদী রুমীকে দল মনোনয়ন দিলেও এলাকার উন্নয়ন হয়নি। গত ১৭ বছর তাঁকে রাজপথে পাওয়া যায়নি। অথচ সুখে–দুঃখে আনছার প্রামাণিক দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। কিন্তু দল আনছারকে মূল্যায়ন না করে মেহেদীকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল বিএনপির নেতা–কর্মীরা হতাশ।

এদিকে প্রার্থী ঘোষণার পর আজ প্রথম ঢাকা থেকে নির্বাচনী এলাকায় আসেন সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। বেলা আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসার বিলজানি বাজারে পৌঁছালে নেতা–কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে সেখান থেকে মোটসাইকেল শোডাউন করে মেহেদী আহমেদ রুমী কুমারখালী শহর প্রদক্ষিণ করেন।

শোডাউন শেষে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ আপনাদের ভালোবাসায় আমার ৩৬ ইঞ্চির বুক ৪২ ইঞ্চি হয়ে গেছে। কেডা আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আসুক। আমি দেখতে চাই ব্যালটের মাধ্যমে। আমি কোনো অন্যায় করিনি। তরুণদের সঙ্গে নিয়ে ইনশা আল্লাহ আমি বিজয়ী হবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, তারেক রহমান সাহেব আমাকে নমিনেশন দিয়েছেন। অনেককেই দিতে পারেননি উনি। আমি তাঁদের কাছে আহ্বান জানাব, আসেন আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে মিছিল করে কোনো লাভ নেই। তাহলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিছিল করা হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শের বিরুদ্ধে মিছিল করা হবে। সেই মিছিল করে আপনারা টিকতে পারবেন না। জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে সেই মিছিলকে উড়িয়ে দেবে ইনশা আল্লাহ। সুতরাং আমি সবাইকে আহ্বান জানাই, আসেন একসঙ্গে নির্বাচন করি।’