ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে পুলিশের বাধা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের এক পাশে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধবেলা হরতালের সমর্থনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের এক পাশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে মহড়া দিতে দেখা যায়। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক (একাংশ) আলিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এ দেশে কখনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সাল কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচন কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি। এ সরকারের অধীনে এবারও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

কর্মসূচিতে সংহতি জানান শ্রমিক ফ্রন্ট সাভার-আশুলিয়ার সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ। তিনি বলেন, গতকাল একটা অবৈধ নির্বাচন কমিশন অগণতান্ত্রিক তফসিল ঘোষণা করেছে। এ তফসিল ঘোষণা সম্পূর্ণ অবৈধ। ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন তাঁরা চান না। তাঁরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘আজকে আমরা গুটিকয়েক মানুষ এখানে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যেদিন সর্বস্তরের জনগণ এসে দাঁড়াবে, সেদিন আপনারাও গুটিকয়েক মানুষে পরিণত হবেন। বাংলাদেশের মানুষের যদি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করা হয়, শ্রমিক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা কেউ বসে থাকবে না। তারা সংগঠিত হয়ে রাজপথে নামলে আপনাদের পতন ঘটবে।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোমিনুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।