সিলেটে সুরমা–কুশিয়ারার তিন স্থানে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের জকিগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ সকালে বুধবার সকালে উপজেলার মনতৈল গ্রামেছবি: প্রথম আলো

সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে (পয়েন্টে) পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পাউবো জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ২৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫১ মিটার ওপরে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি ১৫ দশমিক ৫৮ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৮ মিটার ওপরে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৮৮ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৩ মিটার ওপরে। এর বাইরে জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমেছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বানভাসিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ জায়গা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে জেলার জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার অনেক গ্রাম ও রাস্তাঘাট এখনো প্লাবিত। সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট নগরের উপশহর, সোবহানীঘাটসহ কয়েকটি এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দী আছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১০টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩টি ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৮৩০। বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ১৬২ মানুষ। জেলায় ৫৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৪ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে নগরেই আছেন চার হাজার।