কটিয়াদীতে বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা

উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একই দিনে একই সময়ে পাশাপাশি স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির আয়োজন করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করছেন দলের নেতা–কর্মী ও স্থানীয় লোকজন। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে আজ রোববার সকাল থেকে উপজেলা শহরের স্বপ্নকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার বাসিন্দা রুহুল আমিন সম্প্রতি যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির পদ পেয়েছেন। রুহুল আমিনকে গণসংবর্ধনা দিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। শহরের স্বপ্নকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে আজ বেলা তিনটায় এ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এই সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য আরিফুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে শুরু থেকেই তিনি এই আয়োজনে সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খানকে বাদ রেখেছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রচারপত্রে উপজেলা বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করা হলেও তোফাজ্জলের নাম রাখা হয়নি। অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবেও আরিফুরের নাম ছাপা হয়। বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারছিলেন না তোফাজ্জল। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার তোফাজ্জলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করে একই সময়ে ওই কমিউনিটি সেন্টারের লাগোয়া একটি ফাঁকা স্থানে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা আসে।

তোফাজ্জল বলেন, ‘আমার সাফ কথা, দলে অসাংগঠনিক কাজ করতে দেওয়া হবে না। সংবর্ধনা আয়োজনটি হচ্ছে আমাকে পাশ কাটিয়ে। এর পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয় আছে। এই ধরনের কর্মসূচি না ঠেকাতে পারলে দলের ক্ষতি হয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে পাল্টা যুক্তি দিয়ে আরিফুর বলেন, ‘প্রথমে কথা ছিল, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি হবে উপজেলা বিএনপির ব্যানারে। সভাপতির বিরোধিতার কারণে এখন আমরা ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। এখন অনুষ্ঠানটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যানারে হবে না। কটিয়াদী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ব্যানারেই হবে। অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা করে ব্যানার লাগানোও হবে না। এই অবস্থায় সভাপতির মনে আর কোনো দুঃখ থাকার কথা নয়।’

তবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেনে। তিনি বলেন, দুটি অনুষ্ঠানের মধ্যে কোনোটিই আয়োজনের বিষয়ে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।