নাটোর জেলার মানচিত্র

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় হাত–পা বেঁধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মাঝগ্রাম হাদিসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম সোনিয়া খাতুন (২২)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার থানতুলি গ্রামের জব্বার ফকিরের মেয়ে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী লিটন আলীকে (২৪) আটক করেছে। পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লিটন বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রাম হাদিসপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে।

বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে সোনিয়া ও লিটনের মুঠোফোনে পরিচয়ের একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একই বছর তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের চার বছর ও দুই বছরের দুটি সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগে লিটন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই তাঁর ঝগড়া হতো।

আজ বেলা ১১টার দিকে লিটন তাঁর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এ সময় বেড়াতে আসা সোনিয়া খাতুনের বোন নার্গিস আক্তার ও ভাগনি নাজমীন আক্তার তাঁকে থামাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করেন লিটন। একপর্যায়ে তাঁরা দুজন থানায় গিয়ে পুলিশ নিয়ে এসে দেখেন, ঘরের বারান্দায় সোনিয়ার লাশ পড়ে আছে।

নাজমীন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর সামনেই খালাকে হাত-পা বেঁধে পেটানো হচ্ছিল। তিনি ও তাঁর মা ঠেকাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ নিয়ে এসে দেখেন, তাঁর খালাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন লিটন।

অভিযুক্ত লিটনের মা মমেনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মাদকাসক্ত। ওর মাথা ঠিক থাকে না। সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। আমি ছোট ছেলে আবিরকে নিয়ে বাড়ির বাইরে ছিলাম। পরে শুনি সোনিয়া মারা গেছে। তাঁর গলায় দড়ি বাঁধা ছিল।’

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু এর আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বোন নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযুক্ত লিটন আলীকে আটক করা হয়েছে।