কলেজছাত্রী স্মৃতিকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করতেন শ্যামল

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী স্মৃতি রানী দাশের (২০) ফেসবুকের মেসেঞ্জার হ্যাক করে তাঁর ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করতেন শ্যামল দাশ (২১)। এরপর তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করতেন। এভাবে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন তিনি।

স্মৃতির আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার শ্যামল দাশ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মশাকলি গ্রামের সুধাংশ দাসের ছেলে।

স্মৃতি রানী দাশের বাবার করা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে শ্যামলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে আদালতে পাঠানো হলে ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত ২৫ মে সকালে এমসি কলেজের নতুন ছাত্রী হোস্টেলের চারতলার ৪০৩ নম্বর কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা স্মৃতির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি হোস্টেলের তৃতীয় তলার ৩০৭ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং ইংরেজি বিভাগের স্নাতক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে।

আরও পড়ুন

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্মৃতি রানী দাশের ফেসবুক–মেসেঞ্জার হ্যাক করে ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করেন শ্যামল। এরপর সেসব ছবি মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে টাকা আদায় করে আসছিলেন তিনি।

সর্বশেষ বিকাশে ২ হাজার ৫০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন স্মৃতি। ওই বিকাশের নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে।

জানতে চাইলে শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৫ মে স্মৃতির বাবা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। ওই মামলায় গতকাল শ্যামল দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে পাঠানো হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান আরও বলেন, শ্যামলের ব্ল্যাকমেলের কারণে স্মৃতি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।