ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণ নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাতকের সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় ভাসখলা ও  মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত যুবকের নাম ছয়ফুল আলম (৩৫)। তিনি ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে। তবে আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ছাতকের সুরমা নদীর ওপর নির্মিত সুরমা ব্রিজে দুই তরুণী ঘুরতে যান। এ সময় দুই তরুণী ব্রিজের ওপর টিকটক ভিডিও ধারণ করতে গেলে ভাসখলা গ্রামের কয়েকজন তাতে বাধা দেন। এর মধ্যে মুক্তিরগাঁও গ্রামের কয়েকজন তরুণও সেখানে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে দুই গ্রামের তরুণেরা বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ৬০ জন আহত হন। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ছয়ফুল আলমকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে রাত ১১টার দিকে ছাতক, দোয়ারাবাজার, শন্তিগঞ্জ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১০১টি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের ১৪টি শেল নিক্ষেপ করে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাঈনুল জাকির বলেন, দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক থানার সহযোগিতা নিতে হয়েছে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখত অভিযোগ দেয়নি। এখনো এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। নিহত যুবকের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দুই গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।