কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ ইজিবাইকচালকের হাড়গোড় ১৯ দিন পর চুয়াডাঙ্গা থেকে উদ্ধার

হত্যা
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজের ১৯ দিন পর ইজিবাইকচালক সবুজ মণ্ডলের (৩০) হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারা থেকে ওই হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এর আগে পুলিশের রিমান্ডে তিন ব্যক্তি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর কুষ্টিয়া পুলিশ তাঁদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আসেন এবং তাঁদের দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশের সহযোগিতায় লাশের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে থাকা নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা হাড়গোড়ের পাশে পড়ে থাকা সবুজের লুঙ্গি ও জামা শনাক্ত করেন।

নিহত সবুজ মণ্ডল কুষ্টিয়া পৌর এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বারাদী গ্রামের মৃত বাচ্চু মণ্ডলের ছেলে। গত ১৯ আগস্ট তিনি ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।

রিমান্ডে তিনজনকে মুখোমুখি করা হলে সবাই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, সবুজ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তাঁর মা রেহেনা খাতুন ঘটনার বিবরণ দিয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ গতকাল বুধবার কারাগারে থাকা ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের দুই সদস্য বাচ্চু ও তুষারকে রিমান্ডে নেয়। তাঁরা দুজন সবুজ হত্যার কথা জানেন বলে স্বীকার করেন এবং জানান, জনি নামের এক অ্যাম্বুলেন্সচালক এ হত্যায় জড়িত। বুধবার রাতেই চালক জনিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁদের তিনজনকে মুখোমুখি করা হলে সবাই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে কুষ্টিয়া মিরপুর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক সবুজের লাশ উদ্ধারে অভিযানে নামেন।

রিমান্ডে তিনজন পুলিশকে জানান, ইজিবাইক ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তাঁরা সবুজকে কুষ্টিয়া শহরের ত্রিমোহনী এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে যান এবং খুন করেন। খুনের পর লাশ গুম করতে তা বস্তায় ভরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারায় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির সামনে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।

জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, এর আগে পৃথক ঘটনায় আরেক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধারের মামলায় কারাবন্দী বাচ্চু ও তুষারকে মিরপুর থানায় বুধবার রিমান্ডে আনা হয়। তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের সহযোগী হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সচালক জনির নাম জানান। বুধবার রাতেই চালক জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনজনই সবুজ হত্যার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

সবুজ নিখোঁজের জিডিটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।