ভাড়া নিয়ে ঝামেলার জেরে দুটি বাস আটকে রেখেছেন জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা
ভাড়া নিয়ে ঝামেলার জেরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রইছ পরিবহনের দুটি বাস আটকে রেখেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় বাস দুটি আটকে রেখেছেন তাঁরা।
নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান (পাপন) জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে তিনি রইছ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন ইসলামপুর যাওয়ার জন্য। বাসের সহকারী ভাড়া চাইলে তিনি ২০০ টাকার নোট দেন। তাঁর গন্তব্যের হাফ ভাড়া ছিল ১০ টাকা। কিন্তু বাসের সহকারী তাঁকে ৮০ টাকা ফেরত দেন এবং বাকিটা পরে দেবেন বলে জানান।
মাহামুদুল হাসানের ভাষ্য, তিনি বাস থেকে নামার সময় বাকি ১১০ টাকা ফেরত চাইলে বাসের সহকারী জানান তিনি (মাহামুদুল হাসান) ১০০ টাকার নোট দিয়েছিলেন, আর কোনো টাকা ফেরত পাবেন না। এরপর কথা-কাটাকাটি হলে বাসের চালকের সহকারী মাহামুদুলকে ধাক্কা দিয়ে বাসের ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে দেন এবং গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে রইছ পরিবহনের দুটি বাস আটকে রাখেন।
এ বিষয়ে মাহামুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বারবার তাকে বলছি যে ২০০ টাকার নোট দিয়েছি, তাও ওই ছেলে খারাপ ব্যবহার করে। আমি বাস থেকে নামতে গেলে হেলপার গায়ে ধাক্কা দিয়ে বাসের ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। গাড়ি থামাতে বললে ড্রাইভার বাস না থামায় চলে যেতে থাকেন। প্রক্টর স্যার এবং বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা হয়েছে। মালিকপক্ষের লোক আজ আসার কথা বলেছে। ওই হেলপার এসে ক্ষমা চাইলে বাস ছেড়ে দেওয়া হবে।’
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুটি বাস আটকে রাখা হয়েছে। বাসের মধ্যে চালক ও চালকের সহকারীরা শুয়ে-বসে অলস সময় পার করছেন। জানতে চাইলে একটি বাসের চালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কোনো একটি বাসে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। তাই আমাদের বাস আটকে রাখছে। অপরাধ করেছে একজন আর তার ফল ভোগ করছি আমরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, এখনো তারা আসেননি।’
রইছ পরিবহনের দুটি বাস আটকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘সহকারী প্রক্টর মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা আসবে আসবে করে এখনো আসেননি। তাঁরা এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়গুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’