নোয়াখালীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মিল্লাদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মিল্লাদ ওরফে মিলাদের বাড়ি ভোলার মনপুরা উপজেলার বাতানখালী গ্রামে। তবে তিনি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর মজিদ গ্রামে থাকতেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে ছিলেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি মিল্লাদ রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৭ সালের ২ মার্চ দাবি করা যৌতুক না পেয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী কোহিনুর আক্তারকে (২৩) মাথায় আঘাত করে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তিনি। এরপর লাশ মাটিতে পুঁতে রাখেন। দুই দিন তাঁদের ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁদের একজন মিল্লাদকে ফোন করে কোথায় আছেন জানতে চান। তখন মিল্লাদ ওই ব্যক্তির কাছে স্ত্রীকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেন এবং পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। এরপর ওই প্রতিবেশী কৌশলে মিল্লাদকে আটক করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান। পুলিশ মিল্লাদকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বসতঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে কোহিনুরের লাশ উদ্ধার করে।

রায়ের পর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. মর্তুজা আলী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত কোহিনুরের ভাই দিলার উদ্দিন বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় ২০১৭ সালের ৪ মার্চ একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে মামলার একমাত্র আসামি মিল্লাদ ওরফে মিলাদের বিরুদ্ধে একই বছরের ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালতে দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. মিরাজ উদ্দিন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।