গোয়ালন্দে সাড়ে ১৫ কেজির একটি পাঙাশ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর সাড়ে ১৫ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ মাছ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ফেরিঘাট এলাকা থেকে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী পাঙাশটি প্রথমে সাড়ে ১৮ হাজার টাকায় কেনেন। বিকেলেই ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। মাছটি সকালে মানিকগঞ্জের একদল জেলের জালে ধরা পড়ে।
স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, প্রতিদিনের মতো আজ ভোরের দিকে নদীতে মাছ শিকারে বের হন একদল জেলে। সকাল সাতটার দিকে জেলেরা জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার সময় দেখতে পান বড় একটি পাঙাশ। খুশি মনে জেলেরা বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন ফেরিঘাট এলাকার আনু খাঁর আড়তে। নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কেনেন। মাছটি ওজন দিয়ে দেখেন, ১৫ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা বলেন, ‘পাঙাশটি ওজন দিয়ে দেখি, ১৫ কেজি ৫০০ গ্রামের একটু বেশি হয়েছে। নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৮ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনে নিই। মাছটি বিক্রির জন্য নিজের ৬ নম্বর ফেরিঘাট-সংলগ্ন আড়তঘরে রেখে দিই।’
মাছটি কেনার পর পরিচিতি বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন মাসুদ মোল্লা। তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে বিকেলের দিকে ঢাকার পরিচিত এক ব্যবসায়ীর কাছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা লাভে মোট ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিই। পরে মাছটি ঢাকাগামী একটি দূরপাল্লার পরিবহনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিই।’
এদিনই সকালে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার আরেক মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা স্থানীয় এক জেলের কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৯০০ টাকায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ক্রয় করেছেন। পরে কেজিপ্রতি মাত্র ৫০ টাকা করে লাভে ২১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন।
চান্দু মোল্লার ফুফাতো ভাই মোমিন মণ্ডল বলেন, বুধবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে জেলেরা পদ্মা নদীর সাড়ে ৯ কেজি ওজনের বোয়াল মাছটি বিক্রির জন্য আনেন। এ সময় নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বড় ভাই চান্দু মোল্লা ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে কেনেন। বিকেলেই ঢাকার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা লাভে ২১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করেন। এর আগপর্যন্ত দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে পদ্মা নদীতে বেঁধে রাখেন মাছটি।