১৬ বছর পর বড় সমাবেশ, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অঙ্গীকার

কক্সবাজার শহরে জেলা বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশে নেতা–কর্মীরা। আজ বিকেলে শহরের মুক্তিযোদ্ধা ময়দানছবি: প্রথম আলো

দীর্ঘ ১৬ বছর পর কক্সবাজারে বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের বাহারছড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ময়দানে সমাবেশ করে দলটি। এতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। সমাবেশে বিএনপির নেতারা কক্সবাজারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার অঙ্গীকার করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনের সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া হয়নি। গায়েবি আর মিথ্যা মামলা দিয়ে শত শত নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। অনেকেই বিদেশে চলে যান। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেও সভা করতে দেয়নি। কার্যালয়ের সামনে পুলিশের প্রহরা থাকত।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে লুৎফর রহমান বলেন, এখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে এসেছেন। এখন সংখ্যালঘুদের মন্দির, বিহার, প্যাগোডা রক্ষার দায়িত্ব নেতা-কর্মীদের। কাউকে আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হামলা-ভাঙচুর লুটপাট করতে দেওয়া হবে না।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে দেশে গুম, খুন-সন্ত্রাসসহ এত বেশি অপকর্ম করেছে যে শেষ পর্যন্ত জনরোষে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীরা এখন ধর্মীয় উসকানি দিয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বয়কট করেছে। এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।

কক্সবাজারে সম্প্রীতি সমাবেশের মঞ্চে দলের নেতারা। আজ বিকেলে শহরের মুক্তিযোদ্ধা ময়দান
ছবি: প্রথম আলো

সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা, কক্সবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান প্রমুখ।