স্বাশিপ নেতা শাহজাহানকে আ.লীগের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি

অধ্যক্ষ শাহজাহানকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে শিক্ষকনেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম ওরফে সাজুকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

অধ্যক্ষ শাহজাহান স্বাশিপের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাশিপের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মো. আকরাম খান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহানের নেতৃত্বে শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসকের মাধ্যমে একাধিকবার জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন তিনি। ছাত্রজীবনে টিউশনির টাকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের নামে জমি কিনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এক-এগারোর দুঃসময়ে তিনি প্রিয় নেত্রীর মুক্তির দাবিতে প্রথম বিবৃতি দিয়ে মুক্তির আন্দোলন ত্বরান্বিত করেন। সার্বিক বিবেচনায় অধ্যক্ষ শাহজাহান সংসদ সদস্য হিসেবে একজন যোগ্য প্রার্থী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তাঁকে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

আকরাম খান আরও বলেন, ২০০৮ সালে সরাইলের সঙ্গে আশুগঞ্জকে যুক্ত করার পর আওয়ামী লীগের শক্ত ভিত রচিত হয়। কিন্তু গত তিনটি নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় আওয়ামী লীগ নিশ্চিত জয় থেকে বঞ্চিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে শাহজাহানকে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি একাংশের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ২ নম্বর প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত একটি পত্রে গত মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। রেজাউলের শ্বশুর জাতীয় পার্টির (রওশন) কেন্দ্রীয় প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাও এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনউদ্দিন। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান দলের একাধিক প্রার্থী। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তানভীর হোসেন, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাশেদ।

১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পদত্যাগ করার পর আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।