করমজলে ডিম ফুটে বের হলো ৩৮টি কুমিরছানা

করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো শতভাগ ডিম থেকে কুমিরছানা পাওয়া গেল
ছবি: প্রথম আলো

সুন্দরবনের একমাত্র বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্র করমজলে ডিম ফুটে বের হয়েছে ৩৮টি কুমিরছানা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রের ইনকিউবেটর (কৃত্রিম তাপের ব্যবস্থা করে ডিম ফোটানোর যন্ত্র) থেকে কুমিরের ডিমগুলো বের করা হয়। এর মাধ্যমে করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো শতভাগ ডিম থেকে কুমিরছানা পাওয়া গেল।

প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গত ১ জুন কেন্দ্রের পুকুরপাড়ে পিলপিল নামের একটি কুমির ৩৮টি ডিম পাড়ে। এরপর ডিমগুলো ফোটানোর জন্য সেখান থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট তাপামাত্রায় ইনকিউবেটরে রাখা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখার পর আজ ডিমগুলো বের করে বাচ্চা ফোটানো হয়।

আজাদ কবির আরও বলেন, এর আগে এই প্রজননকেন্দ্রে কুমিরের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার হার ছিল ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ। এবারই প্রথম শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে। সবার পরিশ্রম সফল হয়েছে। আগে অ্যানালগ পদ্ধতির ইনকিউবেটর ব্যবহার করা হতো। এবার প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ইনকিউবেটর ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া গেছে। গত বছর করমজল কেন্দ্র নতুন ডিজিটাল ইনকিউবেটরটি পেয়েছে। এবারই প্রথম কুমির পিলপিলের ৩৮টি ডিম এই যন্ত্রে রাখা হয়। ৮৩ দিন পর সেখান থেকে ডিমগুলো বের করে বাচ্চা ফোটানো হয়।

প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ইনকিউবেটর ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া গেছে
ছবি: প্রথম আলো

বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় আট একর জায়গার ওপর বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম এবং একমাত্র সরকারি এই কুমির প্রজননকেন্দ্র।