মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষের চাপ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায়। আজ শনিবার দুপুরে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখী মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। দুই মহাসড়কের পাঁচটি পয়েন্টে যানবাহনের বেশ চাপ রয়েছে। তবে এখনো কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় টাঙ্গাইলমুখী সড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে।

আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। যানজট ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে রাজধানী ও আশপাশের শিল্পাঞ্চল থেকে নারীর টানে গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষেরা। আজ মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ঈদের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে মহাসড়কে বাড়ছে যাত্রীর চাপ।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে সড়কটি সংকুচিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সেখানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসন করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেখানে একটি ডিভাইটার নির্মাণ করেছে। সেই ডিভাইডারের কারণে নতুন করে চন্দ্রা ত্রিমোড়ের পশ্চিম পাশে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

গাজীপুরের ভোগরা এলাকায় কবির হোসেন বলেন, ‘এখনো শিল্পকারখানা ছুটি হয়নি আগামী সাত তারিখ থেকে কারখানা ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা একটি বাস ভাড়া করেছি, সেই বাস দিয়েই যাব। আজকে স্ত্রী ও মা-বাবাকে বাসে ওঠে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম।’

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ রয়েছে। এতে চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর অংশে যানবাহনের তেমন চাপ না থাকলেও কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে সকাল থেকেই যানবাহনের সারি দেখা গেছে। ওই সড়কে থেমে থেমে যান চলছে। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রীবাহী বাসগুলো ইচ্ছেমতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানোর ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে পেছনের গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।

আলাল উদ্দিন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে চাপ আছে কিন্তু এখনো যানজট হয়নি। পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়া রওনা দিয়েছি। ভোগান্তি বলতে মানুষ ও পরিবহন বেশি। চন্দ্রায় দালাল বেড়েছে, তাঁরা টিকিট বিক্রির নামে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছেন। তাঁদের প্রশাসনের দমানো উচিত।’

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর যাচ্ছেন জোলেখা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কারখানায় কাজ করেন, তাঁর ছুটি হবে আগামী সোমবার। বেশি ভোগান্তির ভয়ে দুই দিন আগেই আমাদের বাড়ি যেতে বলেছে। এ জন্য চন্দ্রায় এসেছি তবে ভাড়া বেশি চাচ্ছে সব বাসেই। তবুও কিছু করার নেই দামদর করে একটি গাড়িতে চলে যাব।’

টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকার সোহেল রানা বলেন, যানজট ঈদের সময় থাকবে এটা আমাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে চন্দ্রায় যানজট হবে, যানবাহন ও মানুষের ভিড় থাকবে এটা আরও স্বাভাবিক। আজ বাড়ি যাওয়ার জন্য আসলাম। যানবাহনের চাপ আছে, সঙ্গে ভাড়াও বেশি। গাড়ি ভালোমন্দ বিষয় না, সব গাড়িতেই ভাড়া বেশি।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, চন্দ্র এলাকায় উড়াল সড়ক থেকে পশ্চিম দিকে নামার সময় যানবাহনের কিছু জটলা হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসগুলো সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করাচ্ছে, সেই কারণেই এই অবস্থা হচ্ছে। তবে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ রাখা হয়েছে তারা যানবাহন গুলি নিয়ন্ত্রণ করছেন।