বরিশালে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে কালো পতাকা মিছিল বের হয়। বরিশাল নগরের সদর রোডে শনিবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে বরিশালে কালো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপি। আজ শনিবার নগরে সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে বরিশাল মহানগর এবং জেলা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বড় কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি। দলটি কিছুটা বিরতি দিয়ে আবার রাজপথে নামছে। গতকাল শুক্রবারও জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিল করেছে দলটি।

মিছিল বের করার আগে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এতে বক্তারা বলেন, ৭ জানুয়ারি এই সরকার একটি একতরফা ও পাতানো নির্বাচন আয়োজন করে নিজেদের একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন এ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। কেন্দ্রে ভোটাররা না গিয়ে নির্বাচনকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই নির্বাচন কোথাও গ্রহণযোগ্য পায়নি। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যত দিন তা না হবে, তত দিন আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান বলেন, এই শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক দফার আন্দোলন চলছে, চলবে। যত দিন পর্যন্ত এই ‘১০ পার্সেন্ট’ ভোটের সরকারের পতন না হবে, তত দিন তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।

মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়
ছবি: প্রথম আলো

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে মিছিল–পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন সিকদার, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবায়দুল হক, মেজবাউদ্দিন ফরহাদ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে বিএনপির একটি কালো পতাকা মিছিল বের হয়ে নগরের গির্জা মহল্লা, চকবাজার ও লাইন রোড হয়ে আবার সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। বিএনপির কালো পতাকা মিছিল উপলক্ষে সদর রোডসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। তবে মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে।