যে ধরনের তালা ব্যবহার করা হোক না কেন, প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে চোখের নিমেষেই তালা খুলে ফেলতে পারেন চোর চক্রের সদস্যরা। এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁরা যেকোনো মোটরসাইকেল চুরি করে পালান। চোরাই মোটরসাইকেল এক জেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তরেও তাঁরা এক ঘণ্টারও কম সময় নেন। চুরি করার আগে তাঁরা সেই এলাকার অপ্রচলিত ও সংক্ষিপ্ত রাস্তার সন্ধান আগেই নিশ্চিত করেন।
আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম। দুপুরে পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ১৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের কথা জানানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি সিংড়া উপজেলার সিংড়াপাড়া গ্রামের ওসমান গণির একটি ডিসকভারি মোটরসাইকেল মাত্র এক মিনিটের মধ্যে চুরি হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মোটরসাইকেলের সন্ধান না পেয়ে সিংড়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। মামলাটি নাটোর জেলা পুলিশ ও সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাতিয়া গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয় এবং বাচ্চু মিয়া (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, বাচ্চু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেন এবং আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্য সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য দেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পুরাদহ গ্রামের দুলাল মিয়া (৩৯), টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের পাখাইলকান্দি গ্রামের আইয়ুব আলী (৪৫) পাবনার আমিনপুরের সৈয়দাপুর গ্রামের শামীম খান (২০), একই উপজেলার কালিনগর গ্রামের নাছির উদ্দিন (২৬), রাজশাহীর বিমানবন্দর এলাকার আল আমিন (২৭), পাবনার বেড়ার শ্রীকণ্ঠদিয়া গ্রামের খবির শেখ (২২) ও আতাইকুলা উপজেলার চুলকাটা গ্রামের জিয়াম হোসেন (২০)। তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় আরও ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার করা মোটরসাইকেলের অধিকাংশ মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে প্রমাণসহ যে কেউ দাবি করলে তাঁকে মোটরসাইকেল ফেরত দেওয়া হবে।