‘বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে আপনাকে ছাত্রলীগ অফিসের পিয়নও বানাইত না’

নির্বাচনী জনসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। রোববার বিকেলে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর ডুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠেছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে ‘সবচেয়ে ব্যর্থ পুরুষ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী।

রোববার বিকেলে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চর ডুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ আখ্যা দেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর উদ্দেশে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘দুইবার ফরিদপুরের মধ্যে নৌকা ডুবাইছেন, তৃতীয়বারের মতো ডুবাইতে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে আপনাকে ছাত্রলীগ অফিসের পিয়নও বানাইত না।’

কাজী জাফর উল্যাহ চোখে পানি ছাড়া কাঁদেন—এমন মন্তব্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘উনি এখন মঞ্চে এসে বলেন, নিক্সন ভুয়া, তাঁকে (নিক্সনকে) ভোট দিলে এটা শিবচর হয়ে যাবে। আমি হইলে যদি শিবচর হয়, তাইলে আল্লাহর কাছে হাজার শোকর যে শিবচরের মতো একটা উপজেলা বানাইতে পারছি। আমি বলে ওনারে ফকিন্নি কইছি। আপনারা কে শুনছেন?’ উপস্থিত জনতা তখন সমস্বরে বলে ওঠেন, কেউ শোনেননি।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘উনি ফকিন্নি অবশ্যই। কিন্তু টাকার কথা বলি নাই। উনি জনগণের ভালোবাসার ফকিন্নি। উনি মঞ্চে উঠে কান্দে, কিন্তু চোখে পানি নাই। একটা নাটকবাজি শুরু করছেন। মনে হচ্ছে বাংলা সিনেমা করেন। কোনো নাটকে কান দেবেন না।’

কাজী জাফর উল্যাহর উদ্দেশে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘পাঁচ বছর এলাকায় আসেন নাই। আজকে এলাকায় আইসা বলেন নৌকা। চাচা, এবারসহ আগেও দুইবার আমার ফুপু নৌকা আপনারে দিছে। মাথা ঘামান, বইঠা তিনি আপনাকে দেন না। বইঠা আমাকে দেন। বইঠা ছাড়া নৌকা অচল। ওই নৌকা নিয়া আপনি তাল-বেতাল হয়ে যান গাঙে।’

নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাক মৃধা। বক্তব্য দেন সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া নাজনীন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য কোহিনুর বেগম, নিক্সনের কর্মী শায়েদীদ গামাল ও একলাস আলী ফকির।