পুলিশের ওপর হামলার মামলায়ও গ্রেপ্তার সেই ১১ জন

১১ আসামিকে আজ সকালে আদালতে হাজির করা হয়ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১১ জনকে পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

১১ আসামি হলেন প্রেমনন্দন দাশ, রনব দাশ, বিধান দাশ, বিকাশ দাশ, রুমিত দাশ, রাজ কাপুর, সামির দাশ, শিব কুমার দাশ, ওম দাশ, অজয় দাশ ও দেবী চরণ। তাঁরা সবাই কোতোয়ালি সেবক কলোনির বাসিন্দা। গত ২৬ জানুয়ারি নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার পুলিশ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জনকে পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিলেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য সম্প্রতি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।