ঢাকা থেকে কক্সবাজার গেল নতুন ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’
ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে পর্যটক এক্সপ্রেস নামের নতুন একজোড়া ট্রেন চালু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন একটি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বেলা তিনটায় এটি কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। ১৬ বগির এ ট্রেনের ধারণক্ষমতা ৭৮৫ জন।
ট্রেন দুটি শুধু ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়েছে জানিয়ে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, নতুন আরেকটি ট্রেন (পর্যটক এক্সপ্রেস) যুক্ত হওয়ায় রেলের আয় আরও বাড়বে।
ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া
‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেন রাত ৮টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। ২৫ মিনিট বিরতি দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনটি রাত সোয়া ১১টায় ছেড়ে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে পৌঁছাবে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে। সেখানে তিন মিনিট বিরতি দিয়ে ভোর সাড়ে চারটায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে।
একইভাবে ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ৬টায় ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে ৬টা ৩৮ মিনিটে। সেখানে ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে ছেড়ে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পর্যটন এক্সপ্রেস কক্সবাজার রেলস্টেশনে পৌঁছাবে বেলা ৩টায়।
কক্সবাজার এক্সপ্রেসের মতো একই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনে। ৩৪৬ কিলোমিটার দূরত্বের ঢাকা-কক্সবাজার পথে আন্তনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০০ টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চেয়ারের ভাড়া ৯৬১ টাকা, এসি (স্নিগ্ধা) সিটের ভাড়া ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া ১ হাজার ৭২৫ টাকা।
দুটি ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ভাড়া (এসি) ৪৭০ টাকা এবং (নন-এসি) ২৫০ টাকা। চট্টগ্রামের ১১৫ যাত্রীর জন্য ট্রেনে দুটি বগি নির্ধারিত রাখা হয়। একটি এসি বগিতে ৫৫ জন, আরেকটি নন-এসি বগিতে ৬০ জন। ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে পৃথক ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।