নড়াইলে হুমকি দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, থানায় জিডি না নেওয়ার অভিযোগ

নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের আগদিয়া গ্রামে গতকাল বুধবার রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছবি : প্রথম আলো

নড়াইলে হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের আগদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আসাদুল খন্দকারের বাড়িতে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, গত সোমবার রাত নয়টার দিকে আসাদুল খন্দকারের মুঠোফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে কল করে ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর আবারও কল আসে। এবার চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন সদর থানায় আসাদুল লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরদিনই তাঁদের বাড়িতে ককটেল দিয়ে হামলা করা হলো।

আসাদুল খন্দকার বলেন, এক লোক ফোন করে বলেন, ‘তুই বলছিলি যা পারি করতে। দেখছিস, পারি কি না? ফোন নম্বর নিয়ে যা পারিস কর।’ তিনি ওই কথোপকথন রেকর্ড করে রাখেন। পরে আসাদুল খন্দকারের ফোন দিয়ে কথা বলেন সদর উপজেলার বিছালী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক শাহ আলম। তিনি জানতে চান আসাদুলকে কী বলেছেন? তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘কি বলছি সে বলেনি আপনাকে? তার থেকে জেনে নেন।’

ককটেল বিস্ফোরণে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। আসাদুল খন্দকার বলেন, ‘আমার ছেলে–মেয়ের তথ্য দিয়ে আমাকে মুঠোফোনে দুই দফায় হুমকি দেওয়া হয়েছে। ছয় লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকিও দেয় সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার সদর থানায় গিয়েছিলাম। হুমকিদাতার মোবাইল নম্বর দিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে না পেরে অভিযোগ দিয়ে আসি। পুলিশ আমার খোঁজ না নিলেও সন্ত্রাসীরা ঠিকই বোমা মেরে গেছে।’

ককটেল বিস্ফোরণের পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তবে তাঁদের কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামিল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের কথা শুনেছিলাম। ঘটনাস্থলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ সদস্য গিয়েছিলেন। এখনো আমি কোনো তথ্য পায়নি।’