উত্তাল পদ্মায় ১৮ কেজির পাঙাশ ধরে জেলেদের মুখে হাসি

১৮ কেজির পাঙাশটি ১ হাজার ২৭০ টাকা কেজিদরে ২২ হাজার ৮৬০ টাকায় কিনে নেন মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা। আজ শনিবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে
ছবি: প্রথম আলো

পানি বাড়ায় পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত দেখা দিয়েছে। সঙ্গে বইছে তীব্র বাতাস আর বড় বড় ঢেউ। উত্তাল পদ্মায় সাধারণত জেলেদের জালে বড় মাছ পড়ে না। তবে এর মধ্য ১৮ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ধরেছেন মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার প্রবীণ জেলে বাসুদেব হালদার ও তাঁর সঙ্গীরা।

আজ শনিবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকার পদ্মায় মাছটি ধরা পড়ে। পরে দৌলতদিয়া ঘাটে ১৮ কেজির পাঙাশটি ১ হাজার ২৭০ টাকা কেজিদরে ২২ হাজার ৮৬০ টাকায় কেনেন ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাসুদেব হালদার সঙ্গীদের নিয়ে আজ সকালে মাছ ধরতে বের হন। সকাল ১০টার দিকে বাহির চর দৌলতদিয়ায় এলাকায় জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলছিলেন। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় জাল তোলার সময় তেমন কিছু টের পাননি জেলেরা। পুরো জাল নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি পাঙাশ উঠেছে। অনেক দিন পর বড় পাঙাশ পাওয়ায় জেলেরা খুশিতে আত্মহারা।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার আরিফা-চাঁদনি মৎস্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, বড় একটি পাঙাশ ধরা পড়ার খবর পেয়ে ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ছুটে যান। সেখানে আড়তদার জাহিদ সরদার নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২২ হাজার ৮৬০ টাকায় পাঙাশটি কিনে নেন। মাছটি ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে লাভ পেলে অন্যত্র বিক্রি করা হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড স্রোত বইছে। বাতাসে নদী উত্তাল থাকায় বড় খুব একটা মাছ ধরা পড়ছে না। বেশ কয়েক দিন পর ১৮ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ধরা পড়ার খবরে জেলেদের পাশাপাশি তাঁরাও আনন্দিত।