নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে আসা এক কিশোরীসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় চৌরাস্তার মাথা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে গতকাল রাতেই আটক রোহিঙ্গাদের চর জব্বর থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ সময় আরও চার ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন—কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পের ১৫ বছর বয়সী কিশোরী, একই ক্যাম্পের মো. জুবায়ের (২৩) ও ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৩ নম্বর ব্লকের সুলতান আহমেদের ছেলে জয়নাল হোসেন (২৪)। আটক ব্যক্তিদের চর জব্বর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিশোরী ও জুবায়ের কিছুদিন আগে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর তাঁরা ভাসানচরের পাঁচজন রোহিঙ্গাকে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল রাতে দালালের মাধ্যমে তাঁরা নদীপথে সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর হয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তার মাথায় অপরিচিত ব্যক্তিদের ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এ সময় তাঁরা তিনজনকে ধরতে সক্ষম হলেও বাকি চারজন পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিন রোহিঙ্গাকে আটক করে তাঁর কাছে নিয়ে আসেন। বিষয়টি থানা–পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ইউপি কার্যালয় থেকে তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়।
চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবপ্রিয় দাশ প্রথম আলোকে বলেন, আটক রোহিঙ্গাদের আজ মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ পুনরায় ভাসানচরে ফেরত পাঠানো হবে। স্থানীয় লোকজন তিনজনকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছেন, তবে ওই সময় আরও চারজন পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভাসানচরের পাশে মহব্বতের খোপ নামে মাছ ধরার একটি স্থান আছে। ফরিদ মাঝি নামের এক ব্যক্তি ওই স্থান পরিচালনা করেন। রোহিঙ্গারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে সেখানে আসে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। ফরিদ মাঝির সঙ্গে জেলেদের সম্পর্ক আছে। টাকার বিনিময়ে ফরিদ মাঝি ও স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা ভাসানচর থেকে পালানোর সুযোগ পান।