পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকভর্তি কলা ছিনতাই, আড়তদার গ্রেপ্তার

বগুড়া জেলার মানচিত্র

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে তিন ব্যক্তি কুষ্টিয়া থেকে আসা কলাভর্তি একটি ট্রাক ছিনতাই করে নিয়ে গেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে মহাস্থান হাটে অস্ত্রের মুখে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলার রায়নগর এলাকার একটি আড়তে ট্রাক থেকে কলা খালাস করা হয়।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার রিগান হোসেন নামের এক ট্রাকচালক বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। কলা ব্যবসায়ী নিমেন হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সোনাতলা গ্রামে। শিবগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি আড়ত থেকে ছিনতাই করা কলা উদ্ধার করেছে। ছিনতাই করা কলা কেনার দায়ে আড়তের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চর সোনাতলা থেকে একটি ট্রাকে ২৭০ ঘাউর (কাঁদি) অনুপম কলা নিয়ে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ী নিমেন হোসেন ১৪ এপ্রিল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল হাটের উদ্দেশে রওনা দেন। ১৫ এপ্রিল নয়মাইল হাটে পৌঁছার পর ক্রেতা না থাকায় শিবগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিহারা বাজারের উদ্দেশে ট্রাক নিয়ে রওনা দেন।

এজাহার থেকে জানা যায়, পথিমধ্যে মহাস্থান হাটের কাছে ট্রাক দাঁড় করিয়ে খাবারের হোটেলে গেলে আলামিন, দেলোয়ার ও সৈকত নামের তিন তরুণ নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়ির কাগজপত্র ও মালামালের চালান দেখতে চান। একপর্যায়ে চোরাই কলা দাবি করে থানায় নেওয়ার ভয় দেখান। পরে রায়নগর এলাকার একটি আড়তে নিয়ে চালক রিগান ও ব্যবসায়ী নিমেনকে মারধর করে ট্রাক থেকে কলা নামিয়ে নেন তাঁরা। পরে ৬১ হাজার টাকায় ডাবলু মিয়া নামের আড়তদারের কাছে কলা বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ট্রাকচালক রিগান হোসেনের সন্দেহ হলে বিষয়টি তিনি ৯৯৯–এ ফোন করে শিবগঞ্জ থানা–পুলিশকে জানান। পুলিশ রায়নগর ইউনিয়নের নাগরবন্দর এলাকার একটি কলা পাকানোর ঘরে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া কলা উদ্ধার এবং ক্রেতা ডাবলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, আলামিন, দেলোয়ার ও সৈকত নামের তিন তরুণ নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে কলাভর্তি ট্রাক ছিনতাই করেন। তাঁদেরকে গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।