এক্স-রে করে পেটে ইয়াবা শনাক্ত

ইয়াবা
ফাইল ছবি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক এক নারীর পেট থেকে ১ হাজার ৯০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর পেটের এক্স-রে করে ইয়াবা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে ওষুধ সেবন করিয়ে মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই নারী, তাঁর ছেলেসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়া পালুং পশ্চিম পাড়া গ্রামের রহিম উল্যার স্ত্রী সাবেকুন নাহার (৫১), তাঁর ছেলে সৈয়দ হোসেন (২১) এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আশোকতলা এলাকার মো. রকি (২১)।

ওষুধ সেবন করিয়ে নারীর পেট থেকে ইয়াবার ৩৮টি প্যাকেট বের করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি ইয়াবা বড়ি ছিল, মোট ১ হাজার ৯০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে এক নারী ও তাঁর ছেলে মাদক নিয়ে কুমিল্লা হয়ে নোয়াখালী আসবেন। পথে কুমিল্লার এক মাদক ব্যবসায়ী তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন। ওই তথ্য পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ফেনীর লালপোল এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে একটি বাস থেকে সাবেকুন নাহার ও তাঁর ছেলে সৈয়দ হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় অবস্থানকারী অপর মাদক ব্যবসায়ী মো. রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাবেকুন নাহারের পেটে বিশেষ কায়দায় ১ হাজার ৯০০টি ইয়াবা ঢোকানো হয়েছে। পরে ওই নারীসহ তিনজনকে নোয়াখালী আনা হয়। সেখানে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক্স-রে করে পেটে ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করিয়ে নারীর পেট থেকে ইয়াবার ৩৮টি প্যাকেট বের করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি ইয়াবা বড়ি ছিল, মোট ১ হাজার ৯০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পেয়ে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসার পথে তিন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।